আজ || মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম :
  জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস ভিত্তিক অবহিতকরণ সভা       তালায় কাপ পিরিচ প্রতীকের শোডাউন       অভিন্ন চাকুরীবিধি বাস্তবায়নের জন্য সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন       তালায় বন্ধ রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রম ॥  সেবা থেকে বঞ্চিত গ্রাহকরা         তালায় ১১৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে অর্থ বিতরণ       বৈষম্যের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন       কাপ পিরিচ প্রতীকের পক্ষে প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলুর গণসংযোগ       তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমারের সমর্থনে বিশাল পথসভা অনুষ্ঠিত       তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ॥ প্রতীক পেয়েই প্রচার শুরু       তালায় খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ    
 

প্রেস রিলিজ


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের বরাদ্দকৃত প্রনোদণার অর্থ ও খাদ্য সহায়তা পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের বরাদ্দকৃত প্রনোদণার অর্থ  ও খাদ্য সহায়তা পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ মে) দুপরে শ্রমিক আন্দোলন সাতক্ষীরার অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি ফাইমুল হক কিসলু।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসে থমকে গেছে সারা পৃথিবী। ঘরবন্দি প্রায় ২৫০ কোটি মানুষ। করোনার মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে উন্নত দেশগুলোও। প্রতিটি দেশে নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সব ধরনের মানুষের সহায়তা দিচ্ছে সরকারগুলো। দেশে করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার পর পরই সরকার সব কর্মসূচি সীমিত করেছে। পাশাপাশি জনসমাগম এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সব অফিস আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ সময় কর্মহীন হয়ে পড়েছে হোটেল শ্রমিক, দিনমজুর, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, ভাসমান হকার, ভাসমান শ্রমিক, ভিক্ষুক, রিকশা শ্রমিক, স্বর্ণ শ্রমিক, ক্ষুদ্র কাঠব্যবসায়ী, ছিন্নমূল, ভবঘুরে, ইজিবাইকের ড্রাইভার, ভাড়াভিত্তিক গাড়ি চালক, পরিবহণ শ্রমিক, ভ্যানচালক থেকে শুরু করে অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা।

সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধিদের কাছে এদের কোনো ডাটাবেজও নেই।  যার কারণে এদের চিহ্নিত করে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়াই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও সরকার ইতোমধ্যে ওএমএস প্রোগ্রাম আরো বর্ধিত করছে। কিন্তু এসব শ্রমিকরা সবাই যার যার বাসস্থানে অবস্থান করছে। কারণ এরা নেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে। গত বৃহস্পতিবার (৭ মে) সাতক্ষীরার ১৩ টি অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত এর শ্রমিকরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রনোদণার অর্থ ও ত্রাণ পাওয়ার দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। কিন্তু কয়েকদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তার কোনো সুফল পাইনি শ্রমিকরা।

তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি বৈশ্বিক মহামন্দা অবস্থা সৃষ্টি করেছে। মহামারি মোকাবিলায় শ্রমিক-কর্মচারী বা অন্যান্য কর্মজীবী মানুষ যাতে কর্মহীন না হয়ে পড়েন, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু লকডাউনে অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনতিবিলম্বে এদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া অপরিহার্য। এদের কারও কারও ব্যাংক একাউন্ট থাকলেও অনেকেরই নাই। স্থানীয় প্রশাসন এর মাধ্যমে এদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে চাল-ডাল-লবণ-তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে।  দ্রব্য সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতি ও জটিলতা এড়াতে পণ্যসামগ্রীর পরিবর্তে তাদের দ্রুত খাদ্য বা নগদ সহায়তা দেওয়া জরুরি।

ফাইমুল হক কিসলু বলেন, সামনে ঈদ। মহামারির কারণে সাতক্ষীরার ১৩ টি অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত এর (শ্রমিক সংগঠন-জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন, রং পালিশ শ্রমিক ইউনিয়ন, ইলেক্ট্রিশিয়ান শ্রমিক ইউনিয়ন, হোটেল রেস্তোরা ও বেকারী শ্রমিক ইউনিয়ন, বোর্ড ফার্নিচার শ্রমিক ইউনিয়ন, টাইলস মোজাইক শ্রমিক ইউনিয়ন, স্বর্ণ ছাই শ্রমিক ইউনিয়ন, দর্জি শ্রমিক ইউনিয়ন, রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, সাতক্ষীরা সদর উপজেরা সংবাদপত্র হকার্স শ্রমিক ইউনিয়ন, ইটভাটা শ্রমিক ইউনিয়ন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ওয়েলডিং ওয়ার্কসপ শ্রমিক ইউনিয়ন, সদর উপজেলা স্বর্ণকার শ্রমিক ইউনিয়ন) আনুঃ ১৫৩৪০ জন শ্রমিক কর্মহীন হয়েছেন। ওই শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল তাদের পরিবারের প্রায় ১ লক্ষ মানুষ। ফলে তারা স্ত্রী-সন্তান-পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ব্যক্তিগত বা সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা অন্যান্য সংগঠনের শ্রমিকরা পেলেও অনাকাঙ্খিত ভাবে বঞ্চিত এসব শ্রমিকরা।  তাই, সহায়তা এখন তাদের জরুরি। এমতাবস্থায় করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ৭২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও আমরা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত এর শ্রমিক হয়েও কোনো ত্রাণ ও প্রনোদণার অর্থ পাইনি। প্রায় কর্মহিন ৪৫ দিন অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরেও দিন এনে দিন খাওয়া এই মানুষদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত না হওয়া দুঃখজনক। ন্যূনতম খাদ্যের সংস্থান নিশ্চিত না করে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দুরুত্ব রক্ষার প্রয়োজন পূরণ করতে ঘরে থাকার আহবান অভুক্ত শ্রমজীবী মানুষের কাছে গুরুত্বহীন। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের বেঁচে থাকর মত ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করতে না পারলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছি আমরা। অনতিবিলম্বে শ্রমিকদের বরাদ্দকৃত অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি আমরা।


Top